নিঃসঙ্গ চ্যাপলিন নৈঃশব্দ্য কাটাতেই
বুক পেতে দিয়েছিলো কস্তুরি মৃগের ত্রিবেণীর জলে,
দাঁড়কাকের অট্টহাসি তার নাসিকা গলিয়ে দেয় চেনা সুঘ্রাণে,
নৈঃশব্দ্য কেটে যায় হুট করে;
গঙ্গা, যমুনা আর সরস্বতীর যোগী বানাবে বলেই
তোমার ত্রিবেণীতে কর্ষিত কস্তুরি বুকে আগলে ধরে বলেছিলে
আসছে বর্ষায় আমার অনেকগুলো কদম ফুল চাই-ই চাই!!
তোমার মৈনাক চূড়ায় ২৯ টি কদমফুলে শ্রাবণ নামাবো বলে,
সিন্ধু, কাবেরীর কোল ছুঁয়ে ফুটে উঠা কদম ফুলে
তোমার হাত ভরিয়ে দিয়ে মৈনাকশৃঙ্গ ছুয়ে দেবো,
ভাবতেই ঠোঁটের কোল ভরে ফুটেছিল প্রশান্তির পদ্মফুল।
মাত্রই আয়োজন শেষ করে আষাঢ় নেমে আসবে,
অথচ কদম্বের ডালা সাজানো আমার খোঁজ পড়লো না,
কিংবা বকুল হতে চাওয়া তোমার কানে,
আজ সোনার দুল চড়িয়ে দেয়া শঙ্খিনীর ছোবল ভুলে
সঁপে দিলে তোমার যে দুটো হাত, সে হাত সোনা দিয়ে বাধানো;
তোমার মৈনাকে শঙ্খিনীর নৃত্যে নীল হবো আমি,
শুকিয়ে যাওয়া কদমের গাঁ ছুবে না আর শ্রাবণ,
বর্ষণে ভাসবে না সুনাভ তোমার,
শঙ্খিনীর ছোবলে আরো নীল হবো আমি,
তোমার কানের লতি আর হাতে সোনালী চিলের ডানা!
বুকের হাড্ডি নৈঃশব্দ্যকে উড়িয়ে দিয়ে চুরমার হবে
কেউ শুনবে না, তোমার সোনালী চিলের ডানা ঝাপটে উড়ে বেড়াবার তৃপ্তি ছাপিয়ে
আমার দিকে কেউ শুনবে না, তুমিও না!!