আমি সেই অবহেলা, সেই নতমুখ নিয়েওফিরে না গিয়ে অভিমান-ভেজা চোখ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকাআমাকে গ্রহণ করায় দ্বিধান্বিত তোমার চোখ, তোমার ঠোঁটে বাঁকানো অবিশ্বাস, ভীরুতা।উৎসব করবো বলে চোখের মণিতে উৎকীর্ণ ফোয়ারা নিমিষেই চুপসে গিয়ে জল হারিয়ে ফেলা প্রত্যাখ্যান। অনিচ্ছায় নির্বাসিত ঘোলা চাঁদটা আমার দখলে থেকে গেলো,বেদনার নীলে ছেয়ে যাওয়া আমার আকাশ আরো নীল ঢেলে দেবার ভয় দেখাবে […]
নিঃসঙ্গ চ্যাপলিন নৈঃশব্দ্য কাটাতেই বুক পেতে দিয়েছিলো কস্তুরি মৃগের ত্রিবেণীর জলে, দাঁড়কাকের অট্টহাসি তার নাসিকা গলিয়ে দেয় চেনা সুঘ্রাণে,নৈঃশব্দ্য কেটে যায় হুট করে; গঙ্গা, যমুনা আর সরস্বতীর যোগী বানাবে বলেই তোমার ত্রিবেণীতে কর্ষিত কস্তুরি বুকে আগলে ধরে বলেছিলেআসছে বর্ষায় আমার অনেকগুলো কদম ফুল চাই-ই চাই!! তোমার মৈনাক চূড়ায় ২৯ টি কদমফুলে শ্রাবণ নামাবো বলে, সিন্ধু,
জমানো কুয়াশায় মুখ ধুয়ে যে রোজকার যাত্রা শুরু করি, তোমার কাছে সেটাই আমার ভালো থাকার সাক্ষ্য দেয়।অথচ একটুখানি জলের অভাবে আমার চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে।তারচেয়ে চাতক হলেও ভালো হতো, অন্তত আমার যে জল ছুয়ে দেয়ার অধিকার নেই সেটা তো তুমি জানতে?হয়তো তখন করুণা করে হলেও আমার উপর বৃষ্টি হয়ে আসতে!! আজকাল বড্ড পরিচয় সংকট ঘিরে ধরে
ইস্তাম্বুলের রাস্তা দিয়ে হাটতেছি আর ডানে বামে চোখ ঘুরিয়ে দেখছি তুর্কী সাম্রাজ্যের কতশত স্বাক্ষী দাঁড়িয়ে আছে। দেখি আর অবাক হই। মূলত তুর্কি নাচন শব্দটার প্রতি আমার একটা তুমুল আকর্ষণ রয়েছে। এই শব্দটার সাথে যার ভাব হয়েছে ধরে নেবেন উনি নাজেহাল অবস্থায় আছেন। আমিও বেশি বেহালভাবেই নাজেহাল অবস্থা পার করছি। হাটতে হাটতেই অদুরেই দেখতে পেলাম নাদুসনুদুস
‘আধ্যাত্মিক সাধনা কখনোই রূপের সাধনা হইতে পারে না। তাহা সমস্ত রূপের ভিতর দিয়া চঞ্চল রূপের বন্ধন অতিক্রম করিয়া ধ্রুব সত্যের দিকে চলিতে চেষ্টা করে। ইন্দ্রিয়গোচর যে কোনো বস্তু আপনাকেই চরম বলিয়া স্বতন্ত্র বলিয়া ভান করিতেছে, সাধক তাহার সেই ভানের আবরণ ভেদ করিয়া পরম পদার্থকে দেখিতে চায়।’ (রূপ ও অরূপ)। এখানেই প্রেম তার প্রকৃত চরিত্রে আবির্ভূত
শরৎ প্যাগোডার শিখরে শুভ্রতা ছড়িয়ে দিতেই ফুটেছিলো শিউলিরা,এরপর থেকে বুকের ২৪ টি হাড়ে বাসা গেড়ে আমাকেও তার বাসিন্দা করে নিলো,অথচ বকুল আমার এক অপ্রিয় প্রিয়তমা, যার ঝরে যাওয়া স্বভাবটা মেনে নিতে না পারলেও দেখে যেতে হয়!তবুও বকুল তলে শুয়ে থাকা স্বভাব পাওয়া মেহবুব তো ফুলের চেয়ে গাছকেই ধারন করার মোহে লেপ্টে থাকে তোমার পবিত্র জমিনে।
আমাদের মাখন কাকা, সবার কাছেই তিনি মাখন কাকা নামে পরিচিত। উনার চেহারা সুরত কিন্তু আবার মাখনের মত ভাবতে যাবেন না, উনি গড়ে পড়তায় দুধের পুড়ে যাওয়া সরের মতো হতে পারেন আর কি। তবে নামে আর চেহারার মাঝে পার্থক্যের জন্য উনাকে কখনো দুঃখবোধ করতে দেখা যায় নি। বরং বিভিন্ন জায়গায় তিনি তার নামসর্বস্ব অনেক দৃষ্টিনন্দন ব্যানার,
মধ্যরাত! বেলকনিতে বসে থেকে হাতের মোবাইল ফোনটি বরাবরের মতোই একটু পর পর নিভে যাচ্ছে আর সাথে সাথে আনলক বাটনটিতে চাপ দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে যাচ্ছি ফোনের ঘুমোতে চাওয়া স্ক্রিনটিকে। যান্ত্রিক আলোর এই জ্বলা-নেভাটা মন্দ লাগছে না। আবার ভেতরে একটু অস্থিরতা থাকায় খুব একটা ভালোও লাগছে না। আসলে কিছুই করার নেই বলেই নিজের সাথে ফোনটাকেই জাগিয়ে রাখছি।
