কোভিড-১৯: এপিডেমিক ইনফেকশন

কোভিড-১৯ এর এপিডেমিক ইনফেকশনের ফেইজ দুইটা: ১) যখন মানুষ নির্দিধায় এজ ইউজ্যুয়াল জীবন-যাপন করে, প্যাথোজেনও মুক্তভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে; ২) যখন মানুষ কোয়ারেন্টাইনড আচরণ করে অথবা নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন করে প্যথোজেন ধীর গতিতে ছড়ায়। আমরা ১ম ফেইজ থেকে ২য় ফেইজে গিয়ে আবার ১ম ফেইজে ফিরে আসছি।

এপিডেমিক থেকে কার্যকরভাবে মুক্ত হবারও উপায় দুইটা: ১) আর্টিফিশিয়াল ইমিউনিটি অর্থাৎ ভ্যাক্সিন প্রয়োগ, ২) ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিজস্ব শারীরিক প্রতিরোধ, আরো একটু বাড়িয়ে বললে Herd Immunity তৈরী করা, বেশীর ভাগ মানুষের সংক্রমণে এক পর্যায়ে ভাইরাস আর ফাংশন করতে সক্ষম না, যার শরীরে ইমিউনিটি আছে তার কাছ থেকে তো আর ভাইরাস ছড়াবে না। দ্বিতীয় পদ্ধতিটা অমানবিক এবং মডার্ণ বায়োপলিটিক্যাল ফেইলিয়ার। এই সময়ে এসে এভাবে চিন্তা করাটা আসলে কতটা যৌক্তিক আমার জানা নাই। ধরলাম, সংক্রমিতদের ১০ শতাংশ মারা যাবার পসিবিলিটিজ আছে। কিন্তু মানুষের প্রাণকে ১০ শতাংশ দিয়ে মেজার করার অধিকার কি কারো আছে? এইটা কি শুধুই সংখ্যা? আপনার ছেলে-মেয়ে, মা-বাবা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী এরা কি শুধুই সংখ্যা? ১০ শতাংশ?

আমরা লকডাউনের কথা বলেছি। লকডাউন তো মূলত কন্টাজিয়ন মিনিমাম রাখার জন্য, কন্টাজিয়ন ম্যানেজেবল রাখার জন্য, এইটা সমাধান না। কেউই বলছে না যে এটা সমাধান। লকডাউন আর কোয়ারেন্টাইন হলো মালাকুল মউতের সাথে লুকোচুরি খেলে সময় ক্ষেপণের মতো। এই সময় ক্ষেপণটা প্রস্তুতিমূলক। আর প্রস্তুতি কখনো নিঁখাদ অনির্দিষ্টকালের জন্য হয় না। এটারও সীমা পরিসীমা আছে। এই পরিসীমিত সময়ের মধ্যেই ম্যাক্রো ইকোনোমিক পলিসি কী হবে, মাইক্রো ইকোনোমিক পলিসি কী হবে, স্বাস্থ্যনীতি কী হবে, সামাজিক নিরাপত্তা কী হবে, ট্যাক্সেশনের ফিলোসফিটা কী হবে, ওয়ার্কিং এনভায়রনমেন্ট কীরকম হবে, ফর্মাল-ইনফর্মাল ইকোনমিক এক্টিভিটজ কীরকম হবে, কৃষিখাত কীভাবে ফাংশন করবে, পাঠদান পদ্ধতি কীরকম হবে, মোদ্দা কথা ইচ এন্ড এভ্রি এস্পেক্ট অভ হিউম্যান এক্টিভিটিজরে রিডিফাইন করতে হবে।

যদি ঘরে বসে কাজ করা সম্ভব হয়, ঘরে বসেই করতে হবে। ঘরে বসে সম্ভব না হলে ঘরের বাইরে কন্টাজিয়ন থেকে সেইফটি নিশ্চিত করতে হবে। এতো এতো বিশেষজ্ঞ যে বাংলাদেশে আছে, এদের নিয়া বসতে হবে, ছেলে খেলার সময় না এটা, হুইমসিক্যাল আচরণের সময় না। হোয়াক্স নিউজ আর রিসার্চ নিয়ে ডেম কেয়ার আচরণের সময় না। অকার্যকর সিভিল সোসাইটিকেও কার্যকর হতে হবে। টক-শো হ্যাজ নেভার বিন এন ইফেক্টিভ এপ্রোচ। সিভিল সোসাইটির লোকজন, বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে শ্রমিকদের প্রতিনিধি, সবাইকেই নিয়েই তো বসতে হবে। সব জ্ঞান তো আর সরকারের কাছে নাই, থাকাটাও রিজনেবল না। বরং একটা ইন্টিগ্রেইটেড এপ্রোচে সব ধরণের স্টেক-হোল্ডারের মতামত নিতে হবে। এফেক্টেড কম-বেশী আমরা সবাই হচ্ছি। টাইম ইজ লিমিটেড। লকডাউন যত দীর্ঘায়িত হবে ইকোনমি ততো নাজুক হবে, মানুষের জীবন তত বিভীষিকাময় হবে, এই ফ্যাক্টটা মেনে নিতে হবে। এটা মর্মান্তিক সত্য।

কিছুদিন আগে আর পরে ঘর থেকে বের হতেই হবে, বের না হয়ে পারবে না মানুষ, সম্ভব না আসলে। কারণ প্রোডাকশন বিহীন ডিস্ট্রিবিউশনেরও লিমিট আছে, সোশ্যাল সিকিউরিটি দীর্ঘ মেয়াদে মেইনটেইন করতে গেলে ইকোনমিক এক্টিভিটিজের আনইন্টারাপ্টেড ফ্লৌটাও নিশ্চিত করতে হবে। প্রশ্ন হলো মালাকুল মউতের সাথে লুকোচুরি খেলার যে সময়টা আমরা নিলাম সেই সময়টার কীরকম ব্যবহার হলো? এই প্রশ্নটাই ছিলো সবচে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, এটার উপরই নির্ভর করেছে আমাদের আপকামিং টাইমের ন্যাচার কী হবে। আমরা এই টানেলের ভিতর হয়ত আরো জড়িয়ে যাবো নয়ত বের হবো, সিম্পল বাট রুড ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট ফিউচার। কিন্তু ঐ সময়টার প্রোপার ইউটিলাইজেশন কী হয়েছে? এই প্রশ্নটা তো মাথায় নিতে হবে।

সংকটের পেছনে কী কী ফ্যাক্টর কাজ করছে সেগুলা কী আমরা নির্ধারণ করেছি, অথবা সেসবকে কীভাবে এড্রেস করবো তার আইডেন্টিফিকেশন হয়েছে বা হচ্ছে? যদি এড্রেস না করতে পারি, ফিউচার খারাপ। ডিভাইন ইন্টার্ভেনশনের জন্য অপেক্ষা ছাড়া কিছুই করার থাকবে না। এর মধ্যে নানান ভুল সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে যদি Natural Herd Immunity এর দিকে যাই, যে অমানবিক কন্ডিশন তৈরী হতে পারে সেটার জন্যও আমরা প্রস্তুত কিনা? এজ আ সিটিজেন অনেককিছুই মাথায় ঘুরে আসলে। অনেকসময় মনে হয়, দ্যা ফিউচার ইজ কৌল্ড এন্ড ব্লীক, এভ্রিওয়ান ইজ গোয়িং টু ডাই এনিওয়ে ফর হোয়াটেভার রীজন, মৃত্যু তো জীবনের চাইতেও বড় সত্য। আবার এতোটা সিনিক্যালও হতে ইচ্ছা করে না। আবার খুব একটা হৌপফুলও আমি কখনো ছিলাম না। যা হবার হবে, হোক।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *