যুদ্ধ নয় শান্তি চাই

ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ: বিচারে সমস্যা ও সম্ভাবনা

ইউক্রেনে পরিচালিত রাশিয়ান আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইউক্রেন অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও এই অভিযোগ তদন্ত ও বিচারের বেশকিছু তাত্ত্বিক সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আজকের এই লেখায় আমরা দেখবো এই শতকে এসে ইউরোপে সংগঠিত বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা ও যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) কি কি ভূমিকা পালন করতে পারে এবং এক্ষেত্রে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তা জানার পাশাপাশি বিশ্বনেতাগণ এই সমস্যার সমাধানে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে তা খুজে দেখার চেষ্টা করবো।

যুদ্ধাপরাধ কি?
যুদ্ধপরাধ তখনই সংঘটিত হয়েছে বলে মনে করা হবে যখন বেসামরিক নাগরিকদের উপর ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ করা হবে, তাদের জানমালের ক্ষতি সাধন করা হবে পাশাপাশি তাদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশ্যক অবকাঠামো ধ্বংস করা বা ধ্বংস হবার উপক্রম করাকেই যুদ্ধপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।
এছাড়া বেশকিছু অস্ত্র এবং যুদ্ধক্ষেত্রে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে কারণ এসকল অস্ত্রের ব্যবহারে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়াতীত। যেমন অ্যান্টি-পারসনেল ল্যান্ডমাইন এবং রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্র। এগুলোর ব্যবহার মানব সম্প্রদায়ের পাশাপাশি একটি এলাকার ভবিষ্যতের জন্যও অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনে।
এছাড়াও যুদ্ধের সময় গুরুতর অপরাধ যেমন খুন, ধর্ষণ বা একটি গোষ্ঠীর উপর ব্যাপক নিপীড়ন, “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ” হিসাবে পরিচিত।

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের কি অভিযোগ রয়েছে?
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মারিওপোলের প্রসূতি ও শিশুদের হাসপাতালে হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে বর্ণনা করেছেন। কেননা এখানে কোন প্রতিরোধ যুদ্ধ সংঘটিত হয় নি বা হবার কথাও ছিলো না।
এগুলো জেনেভা কনভেনশন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তির স্পষ্ট পরিপন্থী।
ইউক্রেন দাবি করছে মারিউপোলের মাতৃত্ব ও শিশুদের ওয়ার্ডে রাশিয়ার বিমান হামলা একটি যুদ্ধাপরাধ। আর এতে এক শিশুসহ তিনজন নিহত এবং ১৭ জন কর্মচারী ও রোগী আহত হন।
এমনও খবর পাওয়া গেছে যে রুশ সেনারা পালিয়ে আসা ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে, তাদের খুন করছে, যক স্পষ্টত যুদ্ধাপরাধী হিসেবে রাশিয়াকে দায়ী করতে পারে।
এমন অনেক প্রমাণ রয়েছে যে ক্লাস্টার বোমা – ​​অস্ত্র যা প্রচুর বোমালেটে বিভক্ত – খারকিভের বেসামরিক এলাকায় আঘাত করেছে৷
যদিও রাশিয়া বা ইউক্রেন কেউই তাদের অস্ত্রের ব্যবহার ও যুদ্ধবিগ্রহ বিষয়ক বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি, তবুও এই ঘটনাগুলিকে অনেক দিক দিয়েই যুদ্ধাপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
আসুন দেখে নিই, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে পুতিনকে দোষী ঘোষনা করা যায় কি না কিংবা আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে রাশিয়ার বিচার করার সুযোগ নেয়া যায় কি না।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে থার্মোবারিক বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে, যা অক্সিজেন শুষে নিয়ে বিশাল শূন্যতা তৈরি করে। যদিও এই বিধ্বংসী বিস্ফোরক এখনো নিষিদ্ধ নয় – তবে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এর ইচ্ছাকৃত ব্যবহার প্রায় নিশ্চিতভাবে যুদ্ধের নিয়ম ভঙ্গ করার শামিল বলা সায় দিবে অনেকেই।
অনেক বিশেষজ্ঞ যুক্তি দিচ্ছেন যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আক্রমণটি বিশ্বব্যাপী আক্রমণাত্মক যুদ্ধনীতির বাইরে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে পড়েছে ইতোমধ্যেই।
সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীদের কিভাবে ধরা হয়?
সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করা প্রতিটি দেশেরই কর্তব্য। যুক্তরাজ্যে, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইউক্রেনে সম্ভাব্য অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

সামরিক যুদ্ধ


কিভাবে সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যায়?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার অনেক উদাহরণ রয়েছে। যেমন,  যুগোস্লাভিয়া ভেঙে যাওয়ার পর সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ঘটিত ট্রাইব্যুনাল, এছাড়া রুয়ান্ডা গণহত্যার জন্য দায়ীদের বিচারের জন্য একটি সংস্থাও গঠন করা হয়েছিল, যেখানে হুতু চরমপন্থীরা 1994 সালে 100 দিনের মধ্যে 800,000 মানুষকে হত্যা করেছিল।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) এবং ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (আইসিজে) যুদ্ধের কিছু নিয়ম অনুসরণ করার জন্য বেধে দিয়েছে ইতোমধ্যে, যা বিবদমান দেশ বা জাতিগোষ্ঠীর জন্য নির্ধারিত, যদিও সংস্থা দুটোর একটিও যুদ্ধকে সমর্থন করে না। এরমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (ICJ) মূলত দেশ বা জাতিগোষ্ঠীর বিচার করতে পারে বা  বিবাদের উপর নিয়ম আরোপ করে, কিন্তু ব্যক্তিদের বিচার করতে পারে না। অর্থাৎ এখানে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কিন্তু ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না। যদিও ইতোমধ্যে ইউক্রেন তাদের উপর পরিচালিত আগ্রাসনের অভিযোগে  সংস্থাটিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে।
তবে, যদি ICJ রাশিয়ার বিরুদ্ধে রায় দেয়, তাহলে সেই রায় কার্যকর করার কাজটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) হাতে পড়বে। এক্ষেত্রে অন্য একটি সমস্যার উদ্ভব হতে পারে, যেহেতু রাশিয়া – ইউএনএসসির পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে একটি – সেহেতু এটি অনুমোদনের প্রস্তাবে রাশিয়া ভেটো দিয়ে রায় বাস্তবায়ন আটকে দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত
ICC বিচ্ছিন্ন যুদ্ধাপরাধীদের তদন্ত করে অর্থাৎ ব্যাক্তির অপরাধের বিচার করতে আরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত  এবং যারা যুদ্ধাপরাধীদের জন্য কোন পৃথক রাষ্ট্রের আদালতে বিচারাধীন নেই তাদের বিচারের ভার এই আদালত গ্রহণ করতে পারে। এটি মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নুরেমবার্গ ট্রায়ালের আধুনিক এবং স্থায়ী উত্তরসূরি, যেটি 1945 সালে হেফাজতে থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জীবিত নাৎসি নেতাদের বিচার করেছিল।
নুরেমবার্গ ট্রায়াল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এই নীতিকে শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করেছে বলা যায়, যেখানে  রাষ্ট্রগুলি আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখার জন্য একটি বিশেষ আদালত গঠন করতে সম্মত হবার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো আইসিসি কি ইউক্রেনে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পারে?
এক্ষেত্রে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর, ব্রিটিশ আইনজীবী করিম খান কিউসির বক্তব্য থেকে কিছু ধারণা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি রয়েছে – এবং তদন্ত করার জন্য তার কাছে ৩৯টি রাষ্ট্রের অনুমোদন রয়েছে৷
ইউক্রেনের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তকারীরা অতীত এবং বর্তমান অভিযোগগুলি দেখবেন – এক্ষেত্রে ২০১৩ সাল বা তার পরে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সাথে সংযুক্ত করা পর্যন্ত তদন্তের আওতায় আসতে পারে।
যদি রাশিয়ার আগ্রাসনে কোন বিশেষ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকে, তাহলে প্রসিকিউটর তাদের বিচারের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে আইসিসি বিচারকদের বলতে পারেন  – যাদের গ্রেফতারের পর তাদের বিচার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।
তবে এই আদালতের ক্ষমতার ব্যবহারিক কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এরমধ্যে বিশেষভাবে উল্ল্যেখযোগ্য হলো এই আদালতের নিজস্ব কোন পুলিশ বাহিনী নেই। সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের জন্য এটি বিভিন্ন রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল।
দ্বিতীয়ত, যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো, রাশিয়াও বর্তমানে এই আদালতের সদস্য নয়।  2016 সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত হতে রাশিয়া তাদের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে। অপরদিকে এটাও স্পষ্ট যে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন কোনও সন্দেহভাজনকে এই আদালতের কাছে হস্তান্তর করবেন না।
এক্ষেত্রে সন্দেহভাজন ব্যক্তি অন্য দেশে গেলে তাদের গ্রেফতার করা গেলেও সেখানে রাশিয়ার প্রভাব ও হস্তক্ষেপ বাধা হয়ে দাড়াতে পারে, যেহেতু এমন ঘটনা নজীর খুব একটা নেই, তাই বলা যায় আইসিসি শুধুমাত্র বিচারের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের গ্রেফতারের প্রেক্ষিতেই কেবল বিচার করতে পারে, আর এটা-ই এই আদালতের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা বলে মনে করা যেতে পারে।

বিচারে মানবতা প্রতিষ্ঠিত হোক


প্রেসিডেন্ট পুতিন বা অন্য নেতাদের বিচার করা যেতে পারে?
খালি চোখে দেখলে, একজন সৈনিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা এবং তার বিচার করা অনেকটাই সহজ কিন্তু যে নেতারা তাদের গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিল তাদের বিচার করা অনেকটা-ই কঠিন, বিদ্যমান আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ইতিহাস ও পরিমন্ডলে এটা আসলেই অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে আইনের ভিত্তিতে আইসিসি আক্রমনাত্মক যুদ্ধ চালানোর অপরাধে রাজনৈতিক নেতা কিংবা রাষ্ট্রনেতাদের বিচার করতে পারে, যদিও এর ব্যবহারিক প্রয়োগে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
যেহেতু ইউক্রেনে সংঘটিত রাশিয়ান আগ্রাসন অনেকটা-ই  অযৌক্তিক আক্রমণ বা সংঘাতজনিত অপরাধ বলে বিবেচিত হতে পারে(কারণ, এক্ষেত্রে কার্যকর দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করা হয়েছে বলে কেউ দাবি করতে পারে না) এবং এটি ইউক্রেনের নিজেদের আত্মরক্ষায় ন্যায্য সামরিক পদক্ষেপের বাইরে থাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রনেতাদের বিরুদ্ধে তদন্তের মুখোমুখি করে বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করার আইনি প্রসিডিওর অনুসরণ করার জন্য আইসিসির সদস্য দেশগুলো দাবি জানাতে পারে।
রাষ্ট্রনেতাদের বিচারের মুখোমুখি করার ঘটনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নুরেমবার্গ ট্রায়ালের মাধ্যমে সম্পন্ন হবার উদাহরণকে সামনে এনে এটাকে রিজেনারেট করা যেতে পারে। এখানে মনে রাখা উচিৎ, নুরেমবার্গ ট্রায়ালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক প্রেরিত বিচারকগণ মিত্রদেরকে বোঝান যে নাৎসি নেতাদের “শান্তিবিরোধী অপরাধের” জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত। মস্কোর সেই সময়ের অবস্থান কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারে বর্তমান আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও তাদের প্রসিকিউটরগণ। যদিও এটা মানা না মানা সম্পুর্ন মস্কোর উপর নির্ভর করে।

কুটনীতির জয় হোক



আর সেই প্রেক্ষিতে উদ্ভুত সমস্যার শিকড়টি যে কতটা গভীরে তা ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের আন্তর্জাতিক আইনের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ফিলিপ স্যান্ডস কিউসি বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে যায়। তিনি বলেন, “আইসিসি এই অপরাধের জন্য রাশিয়ার নেতাদের বিচার করতে পারেনা কারণ দেশটি আদালতে স্বাক্ষরকারী নয়”।
তাত্ত্বিকভাবে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আইসিসিকে এই অপরাধের তদন্ত করতে বলতে পারে। তবে আবার, রাশিয়া কাউন্সিলের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের একজন হিসাবে এটি ভেটো করতে পারে। অর্থাৎ একটি পরস্পরবিরোধী অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে আর সেই অবস্থার সুফল রাশিয়া অধিকাংশক্ষেত্রে-ই ভোগ করতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
তাহলে ব্যক্তিদের বিচার করার আর অন্য কোন উপায় কি হতে পারে কিংবা আদৌ কোন উপায় আছে কি না সেটা কার্যত: আইসিসির কার্যকারিতা এবং আন্তর্জাতিক আইন কার্যকর করার জন্য স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করা যাবে এমনটা নয়, এটা মুখ্যত আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং কূটনীতির উপর অধিকাংশে নির্ভর করে।
অধ্যাপক স্যান্ডস এবং অন্যান্য অনেক বিশেষজ্ঞ এই যুক্তি দেন যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার অনেকটাই  নুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতো, এক্ষেত্রেও সমাধানটি আরও একবার কূটনীতি এবং আন্তর্জাতিক চুক্তিতে নিহিত রয়েছে।
অনেকের মতোই অধ্যাপক স্যান্ডস ইউক্রেনে আগ্রাসনের অপরাধের বিচারের জন্য বিশ্বনেতাদের একটি একক ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
এখন দেখা যাক ইউরোপে সংঘটিত এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় আগ্রাসনের আইনিপদক্ষেপ হিসেবে বিশ্ব রাজনীতি কোনদিকে মোড় নেয়, কিংবা এই ঘটনার শিক্ষা মোড়লগোষ্ঠীদের মধ্যে আদর্শগত ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে কি না।
ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকদের জন্য সহানুভূতি, শুভকামনা ও ভালবাসা নিরন্তর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *